

সদ্যই ফিরেছেন টেস্ট স্কোয়াডে। দলের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকা উড়াল দিতেও ছিলেন প্রস্তুত। কিন্তু সবাই বিমানে চড়লেও আটকে গেছেন পেসার রুবেল হোসেন। বোর্ডিং পাসের অভাবে বিমানবন্দর থেকে সোজা বাসায় চলে আসতে হয়েছে রুবেলকে। আপাতত, তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে রুবেলের উপস্থিতি নিয়ে তৈরি হয়েছে আশংকা। তবে আকরাম খান জানিয়েছেন শঙ্কা নেই রুবেলের টেস্ট সিরিজে খেলা নিয়ে।
শনিবার দুই ভাগে ভাগ হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে বাংলাদেশ দল। প্রথম দল দলের বিমানে চড়ার পর্ব শেষ হলে আসে দ্বিতীয় দলের পালা। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমসহ সে দলে ছিলেন রুবেল হোসেনও। সবাই একে একে বিমানে চাপলেও রুবেলকে আটকে দেয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।

নতুন নিয়মে বিমানে চড়ার জন্য যাত্রী তালিকাতেও থাকতে হবে আরোহীর নাম। আর সেখানেই ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ খুঁজে পায়নি রুবেলের নামটি। যার ফলে বৈধ ভিসা থাকার পরেও বোর্ডিং পাস না থাকায় রুবেলকে ফিরতে হয়েছে নিজ বাসগৃহে।
ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম অবশ্য আশাবাদী দ্রুত সমাধানের। প্রথম টেস্টের আগেই রুবেল যোগ দিবেন দলের সঙ্গে এমন মন্তব্যই করেছেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক।
“ওর ভিসা সংক্রান্ত কিছু ভুল হয়েছে। ভুলটা দক্ষিণ আফ্রিকা ভিসা অফিসের। ওর জন্ম তারিখ নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। সমস্যার সমাধান হতে আরও দুই-একদিন লাগবে। টেস্ট সিরিজের আগেই যেতে পারবে।”
শনিবার এবং রবিবার পুরো দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে সাপ্তাহিক ছুটি। রুবেলের সমস্যার সমাধান করতে বিলম্ব হওয়ার এটিও একটি কারণ বলে মনে করছেন আকরাম খান।
“ওর সমস্যা সমাধানের জন্য গতকাল কাজ হয়েছে। আশা করি, আজ-কালের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে। আর সমাধান তো হতেই হবে। ও আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় এবং তাকে বাংলাদেশের দরকার আছে। একটা ভুল বোঝাবুঝির জন্য ওকে তো আমরা বঞ্চিত করতে পারি না।”
ভিসা হয়ে গেছে অথচ রুবেল এখনও চড়তে পারেননি বিমানে, বিষয়টি ভীষণ বিস্মিত করেছে স্বয়ং দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী হারুন লরগাতকে। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গেই বিবেচনা করছে লরগাতরা।