

বিজয়ের ব্যাট হেসেই চলছে। শুধু ব্যাটেই নয়, জয়ের হাসি ছিলো বিজয়ের চোখে মুখেও। উষ্ণ অভিনন্দন পেয়েছেন দলের সবার কাছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দলে থাকার সম্ভাবনা উঁকি দিয়েছিলো বিজয়ের। বোর্ড সভাপতির কথায় সেটিই বোঝা গিয়েছিল। কিন্ত শেষ মুহূর্তে বিজয়ের না থাকাটা আচমকা হলেও বিজয় হয়তো স্বাভাবিক ভাবেই নিয়েছিলেন।
তবে তাঁর ব্যাট দাবী করছে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দলে থাকার জন্য যোগ্য দাবীদার বিজয়।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে রংপুরের করা ৪৭১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনেই শত রান পূর্ণ করেন বিজয়। দিনশেষে ১০৫ রানে অপরাজিত থাকা বিজয় আলো স্বল্পতার কারণে খেলতে পারেননি তৃতীয় দিনের বেশিরভাগ সময়। ১৭৩ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তিনি।
চতুর্থ দিনে এসে দ্বি-শতকের মাইলফলক ছুঁতে আর বেশি সময় নেননি খুলনা দলের এই ওপেনার। সোহরাওয়ার্দী শুভর করা বল বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথমবার দ্বি-শতক পূর্ণ করেন আনামুল হক বিজয়।
দ্বি-শতক পূর্ণ করতে বিজয় খেলেন ৩৩০ বল। ২০০ রানের ইনিংসে আছে ১৭ চার আর ২ ছয়।
এর আগে বিজয় প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন ৬২ টি। আছে ১২ টি শতক আর ২২ টি অর্ধশতক। ৪০.৯১ গড়ে রান করেছেন ৪১৭৩।
বিজয়ের ব্যাটে ভর করে চারশ রান পেরিয়েছে খুলনা বিভাগ। বলাই যায়, ড্রয়ের দিকে এগোচ্ছে এই ম্যাচ।