

বাজে আবহাওয়া আর আলোর স্বল্পতার কারণে খুলনায় বলই গড়িয়েছে মাত্র ৩৯ ওভার। তবে তাতেও দমানো যায়নি বিজয়ের ব্যাটের দাপট। দ্বিশতকের পথে হাঁটতে থাকা বিজয়ের অপরাজিত দেড় শতাধিক রানে ভর করে খুলনা এগোচ্ছে রংপুরের তালেই। তবে, ম্যাচটা যাচ্ছে নিশ্চিত ড্রয়ের দিকেই।
তৃতীয় দিন শেষে রংপুরের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে খুলনার রান ৪ উইকেটে ৩৪২। তুষার ইমরানকে সাথে নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন ১৭২ রানে অপরাজিত থাকা এনামুল হক বিজয়।
ম্যাচের তৃতীয় দিনে বিজয় পাদপ্রদীপের পুরোটা নিজের দিকে টেনে নিলেও আরেক খুলনা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান রবিউল ইসলাম রবি প্রমাণ দিয়েছেন নিজের সামর্থ্যের। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে উইলো হাতে দারুণ নৈপুণ্য দেখানো রবি এদিন তুলে নিয়েছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথম শতক।
২১৮ বলে শতক পূরণ করেই এনামুলের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটি ভেঙ্গে সাজঘরে ফেরেন রবি। ২৫১ রান এসেছে এই দুজনের ব্যাট থেকে। মাঝে দ্রুতই আফিফের উইকেট হারালেও মোহাম্মদ মিথুনের সাথে ৬৫ রানের জুটি গড়ে খুলনাকে পথেই রাখেন আনামুল।
সোহরাওয়ার্দী শুভ’র বলে মিথুন ফিরে গেলেও এনামুল হক বিজয় খেলে গেছেন তার মতই। দেড়শো রানের মাইলফলক পার করে শেষদিনে বিজয়ের চোখটা ডাবল সেঞ্চুরিতেই।
১৩ চার আর ২ ছক্কায় ২৮২ বলে ১৭২ রানে অপরাজিত আছেন কুষ্টিয়ার এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের ক্যারিয়ার সেরা ১৯৩ রান ছাপিয়ে বিজয়ের দ্বিশতকে ম্যাচের শেষদিনে বাধার দেয়াল তুলতে পারে বৈরী আবহাওয়া।
চট্টগ্রামে ঢাকা মেট্রোপলিস আর চট্টগ্রাম বিভাগের লড়াইয়ে জয়ের স্বপ্ন বুনছে ঢাকা মেট্রো। শেষদিনে জয়ের জন্য চট্টগ্রামের প্রয়োজন ৩৭২ রান (লক্ষ্য ৩৮৪) আর ঢাকার প্রয়োজন ১০ উইকেট।
কক্সবাজারে বৃষ্টির প্রবল প্রতাপে তৃতীয় দিনেও এক বলও মাঠে গড়ায়নি। আর রনি তালুকদার এবং সাইফ হাসানের জোড়া শতকে বরিশালের বিপক্ষে ঢাকা বিভাগের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩০৯ রান।
রাজশাহীতে তৃতীয় দিনশেষে দুই দলেরই রয়েছে সম্ভাবনা। শেষ দিনে স্বাগতিকদের দরকার আরও ১২৬ রান। আর সিলেটের লক্ষ্যটা বাকী ৮ উইকেট তুলে নেয়া।