

দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ নিয়ে ব্যস্ত টিম বাংলাদেশ। আসন্ন সফরকে সামনে রেখে শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দেশ ছাড়ার আগে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন টেস্ট দলপতি মুশফিকুর রহিম।
সম্প্রতি সাকিব আল হাসান দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে বিশ্রাম পাওয়ার পর অধিনায়কের বিশ্রামের প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা? এমন প্রশ্ন শুনে মুশফিকের হাসি মুখে উত্তর, ‘ভাই, এত বড় খেলোয়াড় আমি এখনো হতে পারিনি যে আমার বিশ্রাম লাগবে।’
কয়েক দিন আগেই বিসিবি প্রধানের প্রকাশ্য সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। বোর্ড প্রধানের সাথে দেখা করে এসব নিয়ে কথাও বলেন। প্রোটিয়া সফরে যাওয়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে সেই প্রসঙ্গ উঠলে বিসিবি সভাপতির কথাগুলোকে ইতিবাচক হিসেবেই নিচ্ছেন, পাশাপাশি পারফরম্যান্স দিয়েই বোর্ডের প্রত্যাশার প্রতিদান দিতে চান মুশফিক।
‘কিছুটা খারাপ লাগা তো স্বাভাবিক। কারণ আপনি যে কাজটা এত সততার সাথে করছেন, সেটা নিয়ে কথা উঠলে তো খারাপ লাগবেই। সমালোচনা কাটিয়ে ওঠাই ক্রিকেটারদের জীবন। আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে সেই চেষ্টাই করি। গত দুই আড়াই বছরে দল হিসেবে ভালো খেলছে। টেস্টে এত ধারাবাহিক কখনো ছিল না বাংলাদেশ। হয়তো তারা আরও ভালো চান। সেটা মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা থাকবে আমাদের।’
এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে দলে ফিরেছেন নির্ভরযোগ্য টাইগার ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শ্রীলঙ্কার সাথে শততম টেস্ট ছাড়াও ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার সাথে দুই টেস্টেও ছিলেন না এই অলরাউন্ডার। প্রোটিয়াদের সাথে সিরিজে তার ফেরা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন মুশফিক।
‘আপনারা যদি খেয়াল করে থাকেন তিনি অলরাউন্ডার হিসেবে হোক আর যেভাবেই হোক দলে সবসময়ই অবদান রাখার চেষ্টা করে। উনি যেহেতু এখন দলে এসেছেন, সাকিবকে অর্থাৎ একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়কে আরেকজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় বদল করেছে। আমার মনে হয় আমাদেরও একটা স্ট্যাবিলিটি আসবে ব্যাটিং-বোলিংয়ে। আর আফ্রিকার মতো কন্ডিশনে একজন স্পেশালিষ্ট স্পিনার খেলবে। সেখানে উনি যদি বোলিংয়েও অবদান রাখতে পারে সেটাও দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে।’