

সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ তাই উভয় দলের কাছে সামান গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের সেরাদের সাথে পাকিস্তানের সেরাদের, তার চেয়ে বড় কথা পাকিস্তানের অনেক আকাঙ্ক্ষার এক সিরিজ। যেখানে দুই ধরনের চ্যালেঞ্জেই জয়ী পাকিস্তান। শেষ ম্যাচটি তারা ৩৩ রানে জিতে নেয় সাথে ইন্ডিপেন্ডেনস কাপ বিশ্ব সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয়ী তারা।
পাকিস্তানের সামনে অনেক কিছুরই প্রমাণের ছিল। পাকিস্তান উতরে গেছে সবকিছুতে। আর সব কিছু ছাপিয়ে জয় ক্রিকেটের। বিশ্ব একাদশের অধিনায়ক দু-প্লেসির টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত পুরোটাই হতাশা জুড়ে দেয় ফখর জমান ও আহমেদ শেহজাদের ৬১ রানের ওপেনিং জুটি। ৫.৫ ওভারেই দলের অর্ধশত রান তুলে নেয় এই দুই ব্যাটসম্যান। দলীয় ৬১ রানে রান আউটের শিকার ফখর জামান। আজ শেহজাদ ছিলেন সেই পুরনো মেজাজে। ৩৭ বলে অর্ধশত রান পুর্ণ করেন এই মারকুটে ব্যাটম্যান।
শেহজাদ- বাবর মিলে ১২.৫ ওভারেই ১০০ রান পাকিস্তানের। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৬ বলে ১০০ রানের পার্টনারশীপ। বাবর আর শেহজাদের পাল্লা দিয়ে রান তুললেন এদিন। আর এখানেই পিছিয়ে যায় বিশ্ব একাদশ। শেহজাদের ৫৫ বলে ৮৯ ও বাবর আজম এদিন করেন ৩১ বলে ৪৮ রান। ২০ ওভার শেষে দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান।
১৮৪ রানের লক্ষ্য, প্রতি ওভারে প্রয়োজন ৯.২ রান করে। ফ্লাট পিচে এই রান কোন ব্যাপার ছিল না। শুরুতেই তামিম ইকবালের দুর্দান্ত শুরু। ইমাদ ওয়াসিমের প্রথম ওভারেই ১৩ রান। যার মধ্য ডাউন দ্যা উইকেটে এসে তামিমের ট্রেডমার্ক শর্ট ছিল দেখার মত। যা দেখা রিতীমত আনন্দদায়ক। কিন্তু ওসমান খানের হঠাৎ নিচু হওয়া বলে তামিমের ছন্দপতন। চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি ১০ বলে ১৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।
দারুণ খেলতে থাকা হাশিম আমলা আউট হন রান আউটের ফাঁদে পড়ে। বেন কাটিং ৪ বলে ৫ রান করে হাসান আলীর বলে বোল্ড। আজকের ম্যাচে উইকেটের পিছনে দাঁড়ানো জর্জ বেইলি ফেরেন ১২ বলে ৩ রান করে। ডেভিড মিলার হাসান আলীর পেসে পরাস্ত হয়ে ড্রেসিং রুমের পথে হাটেন। বাকিরা কেউ প্রতিরোধ গড়তে না পারলে বিশ্ব একাদশ ১৫০ রানে অল-আউট। এই জয় পাকিস্তানের ইতিহাসের অংশ হয়ে রইল।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
পাকিস্তান-১৮৩/৪, শেহজাদ-৮৯, বাবর-৪৮, থিসারা-৩৭/২
বিশ্ব একাদশঃ ১৫০/ ৮, তামিম-১৪, মিলার-৩২, পেরেরা-৩২
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ- আহমেদ শেহজাদ
প্লেয়ার অফ দ্যা সিরিজ বাবর আজম