

শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে। পেশাদারিত্বের অভাবে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট ছেড়ে পাড়ি দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডে। দুই বছরের বেশি সময় পর নটিংহ্যামশায়ারের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের অনুমতি পেয়ে আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলর।
কাউন্টি দল নটিংহ্যামশায়ারে তিন বছরের জন্য যোগ দিতে ইংল্যান্ডে ছিলেন টেইলর। দলটির সাথে এবারের মৌসুমে টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট ও ওয়ানডে কাপ ট্রফি জয়ে রেখেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। ‘পারিবারিক কারণ’ দেখিয়ে নটিংহ্যামের সঙ্গে দুই বছর পর চুক্তি শেষ করেছিলেন। এরপরই জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটে পুনরায় চুক্তিবদ্ধ হন এ অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
গত ছয় মাসে বদলে গেছে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের অনেক কিছু। নতুন কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন হিথ স্ট্রিক। জিম্বাবুয়ে দল ভালো করার পাশাপাশি এখন ক্রিকেটারদের নিয়মিত পারিশ্রমিকের ব্যাপারেও মিলছে নিশ্চয়তা। অবশেষে দেশের ক্রিকেটের প্রতি ক্ষোভ ও অভিমান ভুলে ফেরার সিদ্ধান্ত ৩১ বছর বয়সী টেইলরের।
কাউন্টি দলের সঙ্গে চুক্তি শেষে দেশে ফিরেছেন টেইলর। নেদারল্যান্ড, পাকিস্তান ‘এ’ দল ও অক্টোবরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ রয়েছে জিম্বাবুয়ের। দশ দিন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে ট্রেনিং ক্যাম্পে যোগ দেবেন তিনি।
জিবাবুয়ে ক্রিকেটের সঙ্গে টেইলরের দ্বন্দ্বের অবসানের পেছনে বড় ভূমিকা রাখেন দেশটির সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান নির্বাচক সমন্বয়ক টাটেন্ডা টাইবু। টাইবু জানিয়েছেন, ‘ক্রিকেটের খবর যারা রাখেন তারা জানেন যে টেইলর কোন মানের খেলোয়াড়। তাকে খুব বেশি দেখার কিছু নেই আমাদের। কাউন্টি ক্রিকেটে তার পারফরম্যান্স আমাদের নজরে ছিল। তাকে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটে ফিরে পেতে আমরা মুখিয়ে আছি।’
দুর্দান্ত ফর্মে থেকে ২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলে অবসর নিয়েছিলেন টেইলর। সেবার ভারতের বিপক্ষে ১৩৮ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলার পাশাপাশি দেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে টানা দুই ম্যাচে হাঁকিয়েছিলেন শতক। বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে ৭২ গড়ে ৪৩৩ রান করেছিলেন জিম্বাবুয়ের তারকা এ ব্যাটসম্যান।
অবসর ভেঙে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটে ফেরা টেইলর এখন পর্যন্ত ২৩ টেস্টে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন চারটি। এছাড়া রঙ্গিন পোশাকের ওয়ানডেতে আটটি সেঞ্চুরির সাথে তার নামের পাশে আছে ৩২টি অর্ধশতক।