

২০০৯ সালে লাহোরে লঙ্কান ক্রিকেটাদের বাসে হা-ম-লার পর পাকিস্তানে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। মাঝে ২০১৫ সালে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল সেখানে সংক্ষিপ্ত সফর করলেও বাকি দলগুলার সেখানে খেলতে যাওয়াতে ছিল ঢেড় অনীহা। ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজনের সেই খরাই বোধয় এবার ঘুচছে পাকিস্তান ক্রিকেটের।
পকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরাতে বেশ তোড়জোড় শুরু করেছে সেদেশের ক্রিকেট বোর্ড। ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি) থেকেও বেশ ভাল সমর্থন পাচ্ছে তারা। বিশ্ব একাদশ দলের পর পাকিস্তানের সাথে শ্রীলঙ্কার পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলার কথা আছে দুবাইতে, সেই সিরিজেরি শেষ টি-টোয়োন্টি ম্যাচটি পাকিস্তানের লাহোরে খেলার প্রস্তাব দিলে ইতিবাচক সম্মতি মিলেছে লঙ্কান বোর্ড থেকে। নিরাপত্তা বিবেচনাই শ্রীলঙ্কা ১ ম্যাচ খেলতে চাইলেও এবার পাকিস্তানের মাটিতে সিরিজ খেলতে আসার কথা ওয়েস্ট ইন্ডিজের। চলতি বছরের শেষেই, নভেম্বরে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে আসবে বলে নিশ্চিত করেছে এই ফরম্যাটে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি বুধবার মিডিয়াকে জানিয়েছেন, “পাকিস্তানের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সিরিজ খেলতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দুই বোর্ডের মধ্যে কথাবার্তাও একপ্রকার পাকা হয়ে গিয়েছে। দ্রুতই ম্যাচের সূচি ঘোষণা করা হবে।”
তবে পাকিস্তানে সিরিজ খেলতে যাওয়ার ব্যাপারে এখনো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। চলতি বছরের শুরুর দিকে যখন আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, তখন নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে পাকিস্তানে আসবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল উইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড। এরপর লাহোরে পিএসএলের ফাইনাল এবং চলতি সেপ্টেম্বরে আইসিসি’র বিশ্ব একাদশ পাকিস্তানে খেলতে আসার পরই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট বোর্ডও সফরে আসাতে রাজি হয়েছে।
২০১৫ সালে জিম্বাবুয়ের পাকিস্তান সফর, চলতি বছর পিএসএলের ফাইনালের পর পাক সরকার ক্রিকেটারদের জন্য প্রেসিডেন্সিয়াল নিরাপত্তার আশ্বাস দেয়ার কারণেই বিশ্ব একাদশের সেখানে খেলতে যাওয়ার সবুজ সংকেত দেয় বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। সেই মতে তিন ম্যাচের ইন্ডিপেনডেন্স কাপ খেলতে লাহোর যায় তামিম ইকবাল’রা। ঘরের মাঠে মঙ্গলবারই বিশ্ব একাদশের বিরুদ্ধে ২০ রানের জয় দিয়েই নতুন ইনিংস শুরু করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট। যদিও পরের ম্যাচে হেরেছে ৭ উইকেটে। সাড়ে আট বছর পর ক্রিকেটকে স্বাগত জানিয়ে পাক ক্রিকেট সমর্থকরা উৎসবে মেতেছে। এবার শ্রীলঙ্কা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাকিস্তান সফরে এলে সেদেশে ক্রিকেট আরো চাঙ্গা হবে সে বিষয়ে বলাই যায়।