সুপার ওভারই মৃত্যু ডেকে এনেছে নিশামের কোচের!

জিমি নিশাম

গত ১৪ জুলাই লর্ডসে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড রুদ্ধশ্বাস ফাইনাল ম্যাচটি ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা রোমাঞ্চকর ম্যাচের তালিকায় জায়গা করে নিবে। ওই ম্যাচের শেষ এক ঘন্টায় প্রতিটি দর্শকই ভুগেছে স্নায়ুচাপে, উত্তেজনায় ঠাঁসা ম্যাচটি দেখে যেকারোরই হৃদকম্পন বেড়ে যাওয়ার কথা। একজন অসুস্থ মানুষের জন্য অমন ম্যাচ দেখা মানে বিপদ ডেকে আনা আর সেটাই হয়েছে কিউই ব্যাটসম্যান জিমি নিশামের শৈশব কোচের সাথে। ম্যাচের সুপার ওভারের উত্তেজনা সামলাতে না পেরে মৃত্যুকেই আলিঙ্গন করেন।

292316
সুপার ওভারে হারার পর গাপটিলকে স্বান্তনা দিচ্ছেন নিশাম, নিশামকে ওকস

দুর্দান্ত ওই ম্যাচে না হেরেও শিরোপা বঞ্চিত হয় নিউজিল্যান্ড, কাগজে কলমে পরাজিত দলে থাকলেও ক্রিকেট ভক্ত, বিশ্লেষক কেউই বলবেনা হেরেছে নিউজিল্যান্ড। মূল ম্যাচ টাই’র পর সুপার ওভারেও তাই, অথচ বাউন্ডারি সমীকরণে হেরে বসে নিউজিল্যান্ড। ঘরের মাঠে শিরোপা জিতে নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পায় ইংলিশরা।

সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ১৬ রান, কোটি দর্শকের চোখ তখন টিভি পর্দায়। এমন রোমাঞ্চে ভরা ফাইনাল যে ক্রিকেট ইতিহাস দেখেনি এর আগে। আর এমন উত্তেজনাপূর্ণ ওভারের ধাক্কা সামলাতে পারেননি ক্রিজে থাকা জিমি নিশামের কোচ ডেভ গর্ডন। আগে থেকে অসুস্থ থাকা গর্ডন মাত্রই হাসপাতাল থেকে ফিরেছেন বাসায়, কিছুটা সুস্থের পথে।

কিন্তু শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে চলে যাওয়া কিউইদের এমন নখ কামড়ানো ম্যাচের উত্তেজনা আর সুস্থ হতে দেয়নি গর্ডনকে। সুপার ওভারে নিশাম যখন দ্বিতীয় বলেই আর্চারকে ছক্কা মারেন তখনই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন গর্ডন এমনটাই জানান তার মেয়ে লিওনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,’ সুপার ওভারের সময় একজন নার্স আসে। সে জানায় বাবার শ্বাসপ্রশ্বাসে কষ্ট হচ্ছে। এরপর নিশাম একটি ছয় মারে, আমার মনেহয় ওইসময়ই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।’

অকল্যান্ড গ্রামার স্কুলে গর্ডনের কাছেই ক্রিকেট দীক্ষা নেন জিমি নিশাম, ফার্গুসনরা। নিজের শৈশব কোচের এমন মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে জিমি নিশামও। টুইটারে তিনি লিখেন,’ ডেভ গর্ডন, আমার শিক্ষক, কোচ ও বন্ধু। খেলাটার প্রতি তার মায়া অনেক বেশি ছিল। আমরা যারা তার কাছে ক্রিকেট শিখেছি তারা অবশ্যই ভাগ্যবান। তিনিও নিশ্চিতভাবে এসব নিয়ে গর্বিত ছিলেন। আপনার আত্মা শান্তিতে থাকুক।’

নিশামের টুইটের প্রতিত্তোরে গর্ডন কন্যা লিওনি ধন্যবাদ জানান নিশামকে। দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটে খেলতেন বলে নিশামদের নিয়ে গর্বের কমতি ছিলনা ডেভ গর্ডনের উল্লেখ করে লিওনি লিখেন,’ ধন্যবাদ জিমি, আমার বোন ও আমি বাবার সাথে শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত ছিলাম, তোমাকে ও দলকে নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত তখন আমরা। সে তোমাকে নিয়ে বেশ গর্ব করতো।’

৯৭ ডেস্ক

Read Previous

হায়দ্রাবাদের প্রধান কোচ হলেন ট্রেভর বেলিস

Read Next

মাঞ্জরেকারের বিশ্বকাপের সেরা একাদশে আফ্রিদি, স্যান্টনার

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Total
0
Share