দেশের ক্রিকেটে টেস্ট দলে নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তৃতীয় বাংলাদেশি বোলার হিসেবে শিকার করেছেন একশ উইকেট। সাদা বলের ক্রিকেটেও নিজেকে স্থায়ী করার পথে এই স্পিনার। অথচ নেটে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা সবচেয়ে বেশি মারেন তাকেই।
সৌম্য সরকারতো ম্যাচেও তাইজুলকে নিয়মিত হাঁকান ছক্কা। সৌম্যের হাতে মার খেতে খেতে তাকে আউট করার আশাই ছেড়ে দিয়েছেন বাঁহাতি এই অর্থোডক্স। অবশ্য নেটে মার খেলেও ম্যাচে তামিমকে বরাবরই অস্বস্তিতে ফেলেন।
তামিম ইকবালের নিয়মিত লাইভ আড্ডায় গতকাল (১৬ মে) অতিথি হিসেবে ছিলেন লিটন কুমার দাস, সৌম্য সরকার ও মুমিনুল হক। শেষদিকে তাদের সাথে যোগ দেন তাইজুল ইসলামও। সেখানেই কথা প্রসঙ্গে উঠে আসে নেটে তাইজুলের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ের কথা।
শুরুটা করেন আড্ডার সঞ্চালক টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তাইজুলকে উদ্দেশ্য করে তামিম বলেন, ‘তোরে নিয়ে মজার একটা বিষয় হল নেটে সবচেয়ে বেশি তোরেই মনে হয় পিটাই। নেটে তোর থেকে বেশি ছক্কা মনে হয় পৃথিবীতে কেউ খায় নি। আমিতো নেটেই মারতে পারি তোরে, ম্যাচে কোনদিন মারতে পারিনাই এটা স্বীকার করি। দুইবারই এসেছিস বল করতে দুইবারই আমি আউট হয়েছি।’
অনেকটা খোঁচার সুরে আরও যোগ করেন, ‘সৌম্য সরকারকে তোর বল করতে কি খুব সমস্যা হয় নাকি?’
জবাবে তামিমকে পাল্টা খোঁচা দিয়ে তাইজুল জবাব দেন, ‘নেটেতো আমি সবার কাছে মার খাই, এটা প্রমাণিত। অস্বীকার করার কিছু নেই। কিন্তু ম্যাচে গেলে অনেকেই বলে ফাটাই ফেলবে, এই করবে সেই করবে। মারে ঠিকই কিন্তু হাতেই থাকে (তামিমকে ঈঙ্গিত করে)।’
তামিমও মজার চূড়ান্ত পর্যায়ে বলতে থাকেন ঘুরিয়ে প্যাচিয়ে নয় নাম ধরে বল আমার কথা, ‘নাম ধরে বল। আমি, আমিই (ম্যাচে আউট হই)।’
মজার ছলে তাইজুলের পাল্টা জবাব, ‘যাইহোক বুঝতে পারছেন (হাসি)।’
তবে ম্যাচে সৌম্য জুজু কাটিয়ে উঠতে না পেরে তাকে আউট করার আশাই ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানান মাত্র ২৯ টেস্টেই ১১৪ উইকেট শিকার করা তাইজুল, ‘জাতীয় লিগ বলেন, প্রিমিয়ার লিগ বলেন ৫-৬ টা করে ছক্কা থাকেই (তাইজুলের বিপরীতে সৌম্যের)। একটা মজার ঘটনা বলি। গতবার প্রিমিয়ার লিগে সৌম্য আবাহনীতে আমি শেখ জামালে। তো সৌম্য অলরেডি ২-৩ টা ছক্কা মেরে দিয়েছে।’
‘একটা সময় গিয়ে ও ডাউন দ্য উইকেটে এসেছে, আমি আরও টানিয়ে বল করলাম। ও ঐটা শুয়ে মারছে, শুয়ে মারা বলটাও ছক্কা হয়ে গেছে। তখন আমি ভাবলাম আর হলনা সৌম্য আমার দ্বারা, এমনিই বল করে যাই। এরপর থেকে সৌম্য যখন আসে আমি শুধু বলই করে যাই। আউট করার চিন্তা করিনা।’