২০১১ সালের একটা টেস্ট সিরিজ। যার বকেয়া আদায় করতে অস্ট্রেলিয়া সময় নিয়েছে ৬ বছর আর সব মিলিয়ে ১১ বছর পর পা রেখেছে বাংলাদেশের মাটিতে। তবে, টাইগারদের ক্রিকেটটা যে আর সেই বছর ১১ কিংবা বছর ছয়েক আগের মত হামাগুড়ি দেয়া অবস্থাটাতে নেই সেটা বেশ ভাল বুঝে গেছেন ক্যাঙ্গারু দলপতি স্টিভেন স্মিথ। তাই এই বাংলাদেশের সাথে আবারও সাদা পোশাকের লড়াইয়ে নামতে আগ্রহী অজি দলনায়ক।
সিরিজ শুরুর আগে স্মিথ খুব স্বভাবতই ভেবেছিলেন স্বাগতিকদের ধবলধোলাই করে তবেই ভারতের বিমানে চাপবেন। সাকিব আল হাসান হুঁশিয়ার করেছিলেন ‘বাংলাদেশ ঘরের মাঠে অজেয়। ২-০ তে সিরিজ জেতা সম্ভব।’ এমনটা বলে। স্মিথ বা নাথান লায়নের কেউই পাত্তা দিতে চাননি।
অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণেই কিনা প্রথম টেস্টে হেরে বসেছিল অস্ট্রেলিয়া! আর সাকিবের অতিমানবীয় পারফর্ম্যান্স তো ছিলই।
পিছিয়ে পড়া অস্ট্রেলিয়ানরা যখন নামছেন চট্টগ্রামে শুধু সিরিজ হারের শঙ্কায় ছিলোনা তাদের সাথে। ২৯ বছর পর র্যাংকিংয়ের ষষ্ঠ স্থানে নেমে যেতে হতো অজিদের। তবে সব প্রতিকুলতা কাটিয়ে চট্টগ্রাম টেস্ট জিতে সিরিজটা সমতাতেই শেষ করেছে অতিথিরা।
র্যাংকিংয়ের জায়গাটা না হারিয়ে আপাতত স্বস্তিতে স্মিথ। বাংলাদেশকে কৃতিত্ব দিতে ভুললেন না এমন একটা জম্পেশ সিরিজের জন্য। “জিততে পেরে ভালো লাগছে। প্রথম টেস্টে জিততে না পারাটা ছিল হতাশার। তবে বাংলাদেশকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। সিরিজ জুড়েই ওরা বেশ ভালো ক্রিকেট খেলেছে। আমাদের দিক থেকে পিছিয়ে থাকার পর ১-১ সমতায় সিরিজ শেষ করতে পেরে দারুণ লাগছে।”
বাংলাদেশের দারুণ উন্নতিটা একদম কাছ থেকে দেখেছেন স্মিথ। তাই বিদায় নেবার আগে বলে গিয়েছেন আবারও টেস্টে লড়তে চান মুশফিকদের বিপক্ষে। আর অপেক্ষাটা যেন কোনমতেই ১১ বছরের না হয়।
“আবার খেলতে পারলে দারুণ হয়। ১১ বছর অনেক লম্বা সময়। ওরা এই সিরিজে অসাধারণ খেলেছে। প্রথম টেস্ট জিতেছে, এখানেও চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। আবার ওদের সঙ্গে খেলার সুযোগ পাওয়া হবে দারুণ।”
আইসিসির ভবিষ্যৎ সূচী অনুযায়ী অবশ্য আসছে বছর বাংলাদেশের রওনা হওয়ার কথা রয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। তাই আশা করা যায় খুব তাড়াতাড়িই আবার সাকিবদের বিপক্ষে মাঠে নামছেন স্মিথরা।