চেজ-মায়ের্সের ব্যাটে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

চেজ-মায়ের্সের ব্যাটে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

বুলাওয়ের আকাশে মেঘের ঘনঘটা ছিল প্রথম টেস্টেও, সেখানে প্রথম দুই দিনে তেমন একটা খেলা হয়নি বৃষ্টির কারণে। দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও হানা দিয়েছে বৃষ্টি, স্থানীয় সময় দেড়টার পরেই নামে বৃষ্টি। ঘন্টা দুয়েক খেলা বন্ধ থাকার পর খেলা শুরু হলে ওভার পাঁচেক পর আবার নামে বৃষ্টি। বৃষ্টির পর জিম্বাবুয়ের বোলার ভিক্টর নিয়াউচির দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেষ দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে। সেই ধাক্কার আগে রস্টন চেজ করেন ফিফটি, ফলে ৮ উইকেটে ২৯০ রানে দিন শেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় দিন শেষে ১৭৫ রানে এগিয়ে আছে ক্রেইগ ব্র‍্যাথওয়েটের দল।

সোমবার কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ৪ উইকেটে ১৩৩ রান নিয়ে খেলা শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার কাইল মায়ের্স ও রস্টন চেজ দ্বিতীয় দিনে গড়েন পঞ্চাশ রানের জুটি। দুজনের ৬০ রানের জুটিতে সকালটা ভালভাবেই কাটিয়ে দেয় ক্যারিবিয়ানরা। কাইল মায়ের্সকে (৩০) সাজঘরে পাঠিয়ে জুটি ভাঙেন ব্র‍্যান্ডন মাভুতা। ফলে ১৮৪ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় সফরকারী দল।

এরপর জশুয়া ডা সিলভাকে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ৮৫ রানের জুটি গড়েন রস্টন চেজ। যেখানে চেজ ৮৩ বলে ৪ বাউন্ডারি এবং ১ ছক্কায় করেন ফিফটি। ফিফটি হাঁকিয়ে ১৩২ বলে ৭০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে ভিক্টর নিয়াউচির বলে বোল্ড হয়ে ফিরেন সাজঘরে। এরপর নামে বৃষ্টি, তাতে খেলা বন্ধ থাকে ঘন্টা দুয়েক।

ঘন্টা দুয়েক পর খেলা শুরু হলে জশুয়া ডা সিলভাকে ফিরিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রানের চাকা আটকে দেন নিয়াউচি। ব্যক্তিগত ৪৪ রানে নিয়াউচির বলে বোল্ড হন জশুয়া। এক ওভার পরে আবার আঘাত হানেন নিয়াউচি, আলজারি জোসেফ (৪) ফিরিয়ে ২৭৪ রানেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের অষ্টম উইকেটের পতন ঘটান নিয়াউচি। নিয়াউচির গতির ঝড়ে মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারীরা।

শেষ বিকেলে আবার বৃষ্টি নামলে খেলা আর মাঠে গড়ায়নি, ৯০.১ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সংগ্রহ করেছে ৮ উইকেটে ২৯০ রান। ৩ রানে ক্রিজে আছেন জেসন হোল্ডার আরেক ব্যাটার গুদাকেশ মতি অপরাজিত আছেন ১১ রানে।

জিম্বাবুয়ের হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেছেন ব্র‍্যান্ডন মাভুতা ও ভিক্টর নিয়াউচি। একটি উইকেট পেয়েছেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা।

এর আগে গুদাকেশ মতির স্পিন ঘূর্ণিতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে গুটিয়ে যায় মাত্র ১১৫ রানে। ৩৭ রানে ৭ উইকেট শিকার করে জিম্বাবুয়েকে অল্পতে বেঁধে ফেলার মূল কারিগর মতিই। জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন ওপেনার ইনোসেন্ট কাইয়া। এছাড়া ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন ডোনাল্ড তিরিপানো এবং ২২ রান করেন ক্রেইগ আরভিন।

৯৭ ডেস্ক

Read Previous

জেমিসন, হেনরির বিকল্প আনক্যাপড ডাফি-কুগেলেইন

Read Next

বিপিএল ফাইনালের টিকিট পাওয়া যাবে কাল সকাল থেকে

Total
0
Share