মুস্তাফিজের ৪ এর পর ২, চেন্নাইয়ের ২ এ ২

৯৭ প্রতিবেদক:

প্রকাশ : 1 মাস আগে আপডেট: 1 সেকেন্ড আগে
মুস্তাফিজের ৪ এর পর ২, চেন্নাইয়ের ২ এ ২

মুস্তাফিজের ৪ এর পর ২, চেন্নাইয়ের ২ এ ২

মুস্তাফিজের ৪ এর পর ২, চেন্নাইয়ের ২ এ ২

চিপকে আরও একটি জয় তুলে নিল চেন্নাই সুপার কিংস। ব্যাট ও বলে সমান পারদর্শিতা দেখিয়ে গুজরাট টাইটান্সকে ৬৩ রানে হারিয়েছে চেন্নাই। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে গুজরাট হতাশ করে ব্যাটিংয়ে। পুরো ২০ ওভার খেলে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান তুলতে পারে তাঁরা। 

বড় লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চেন্নাইয়ের মাটিতে ব্যাট করতে নামে গুজরাট। ইনিংসের প্রথম ওভার করতে এসে মুস্তাফিজুর রহমান দুইটি বাউন্ডারি হজম করেন। তবে উদ্বোধনী দুই ব্যাটারের উইকেট হারিয়েছে তাঁরা খুব সহজেই। মাত্র ৮ রান করে ফিরেছেন দলীয় অধিনায়ক শুবমান গিল। তার ঠিক কিছু পরেই ঋদ্ধিমান সাহার শুরু করা ইনিংসটি লম্বা হয়নি। ১৭ বলে ফিরতে হয় ২১ রান করে। দুজনকেই ফিরিয়েছেন দীপক চাহার। 

ইম্প্যাক্ট হিসেবে ব্যাট হাতে নামা সাই সুদর্শন ইনিংস সর্বোচ্চ রান করলেন। সেটিও ৩১ বলে ৩৭ রানে শেষ হয়েছে। বাকি ব্যাটাররা তেমন অবদান রাখতে পারেননি। ডেভিড মিলার ১৬ বলে ২১ করে ফিরেছেন তুষার দেশপান্ডের শিকার হয়ে। 

মুস্তাফিজুর তাঁর দ্বিতীয় ওভার করতে এসেও দুই বাউন্ডারি হজম করেছেন। তবে তৃতীয় ওভারে ঠিকই উইকেট তুলে নিয়েছেন। রাশিদ খানের সামনে গুড লেন্থ কাটার ধরনের ডেলিভারি নিয়ে হাজির হন মুস্তাফিজ। লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন রাশিদ। ততক্ষণে ১২৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়েছে গুজরাট। সেই ওভারে মাত্র ১ রান দেন এই বাংলাদেশি পেসার। 

নিজের চতুর্থ ওভার করতে এসে আরো একটি উইকেট নেন মুস্তাফিজ। রাহুল তেওয়াটিয়ার শট রাচিনের হাতে গিয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত ৪ ওভার করে ৩০ রান দিয়ে ২ উইকেট মুস্তাফিজের বোলিং ফিগার। গুজরাট, বড় লক্ষ্যমাত্রায় সুবিধা করতে পারল সামান্যই। ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে থামতে হয় তাঁদের।  প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেট নেওয়া মুস্তাফিজুর রহমান ধরে রাখলেন পার্পল ক্যাপ (সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি)। 

 

এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে চেন্নাই। দুই ওপেনারের উদ্বোধনী জুটিতে ৬২ রান আসে দলটির খাতায়। রাচিন রবীন্দ্র আরো একটি ইনিংস খেললেন, যেখান থেকে তাঁর ধারাবাহিকতার প্রমাণ মেলে। রাচিনের ব্যাটে ২০ বলে ৪৬ রান আসে। 

অজিঙ্কা রাহানেকে সাথে নিয়ে দলীয় ১০০ পাড়ি দেন অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। এরপরেই রাহানের ফেরা স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে, ১২ রানে। গায়কোয়াড়ের ফিফটি হয়নি। তিনিও ৪৬ রানে আটকে যান। তখন দলের রান ৩ উইকেট হারিয়ে ১২৭।

শিভাব দুবের ফর্ম বেশ দারুণ। সময়টা উপভোগ করলেন এই ব্যাটার। দলের দুইশোর কাছাকাছি নিতে ভূমিকা রাখলেন ব্যাট হাতে। তাঁর সাথে যোগ দিয়েছিলেন ড্যারিল মিচেল। দুবে রাশিদ খানের শিকার হয়ে ১৯তম ওভারে ফিরে যান। তাঁর ব্যাটে আসে ২৩ বলে ৫১ টি রান। 

পরের ব্যাটার সামির রিজভির ২ ছক্কায় ১৪ রানের ইনিংসে দুইশো’র ডানা ছুঁয়ে ফেলে চেন্নাই। মিচেল অপরাজিত ছিলেন ২০ বলে ২৪ রান করে। দলটির রান থামে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রানে।